আখলাকে হামিদাহ্ ( الْأَخْلَاقُ الْحَمِيدَةُ ) (পাঠ ১)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - ইসলাম শিক্ষা - আখলাক | NCTB BOOK
100

মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার, ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিকে আখলাকে হামিদাহ্ বা উত্তম চরিত্র বলা হয়। যেমন- পরোপকারিতা, শালীনতাবোধ, সৃষ্টির সেবা, আমানত রক্ষা, শ্রমের মর্যাদা, ক্ষমা ইত্যাদি।

আখলাকে হামিদাত্র গুরুত্ব

মানবজীবনে আখলাকে হামিদাহ্র (উত্তম চরিত্রের) গুরুত্ব অপরিসীম। মানবজীবনের সুখ-শান্তি আখলাকে হামিদাহ্ বা প্রশংসনীয় আচরণের উপর নির্ভরশীল। প্রশংসনীয় আচরণের মাধ্যমেই উত্তম চরিত্র গড়ে ওঠে। আখিরাতের সুখ-দুঃখও আখলাকে হামিদাহ্র উপর নির্ভর করে। যার স্বভাব-চরিত্র যত সুন্দর হবে, সে ততই সৎকর্মশীল হবে এবং আল্লাহর কাছে প্রিয় হবে।

আখলাকে হামিদাত্র সুফল

১. মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (স.)-এর ভালোবাসা লাভ

উত্তম চরিত্রের অধিকারী হলে মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (স.)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, 'তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয়, যার চরিত্র সর্বোত্তম।' (বুখারি ও মুসলিম)

২. ইমানের পূর্ণতা অর্জন

উত্তম চরিত্র মানুষের ইমানকে পূর্ণতা দান করে। এ সম্পর্কে মহানবি (স.) বলেন,

اكْمَلُ الْمُؤْمِنِينَ إِيْمَانًا أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا

অর্থ: 'চরিত্রের বিচারে যে উত্তম, মুমিনদের মধ্যে সেই পূর্ণতম ইমানের অধিকারী।' (আবু দাউদ)

৩. সর্বোত্তম মর্যাদা লাভ

উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুল (স.)-এর নিকট উঁচু মর্যাদা লাভ করেন এবং সমাজের নিকটও উঁচু মর্যাদার অধিকারী হন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যার চরিত্র উত্তম।' (বুখারি)

৪. কিয়ামতের দিন সবচেয়ে ভারি আমল

মহানবি (স.) বলেন, 'কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনের পাল্লায় সবচেয়ে ভারি হবে তা হলো উত্তম চরিত্র।' (আবু দাউদ)

দলগত কাজ: আখলাকে হামিদাহর সুফলগুলো উল্লেখ কর।
বাড়ির কাজ: সদাচারণের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...